:আমাদের শরীর যেমন অতিরিক্ত কাজ করলে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে ক্লান্ত বা ফ্যাটিগ হয়ে যায় তেমনি অতিরিক্ত ব্যায়াম বা হাটার কারণে পায়ের হাড় ফ্যাটিগ বা ক্লান্ত হয়ে এক ধরনের ফ্র্যাকচার বা ফাটল তৈরী হয়। পা ছাড়াও যেমন বাহুর উপরিভাগেও বা অন্যান্য হাড়েও এই ধরণের ফ্র্যাকচার হতে পারে।একেই বলা হয় স্ট্রেস ফ্র্যাকচার বা ফ্যাটিগ ফ্র্যাকচার। ফ্র্যাকচার বা হাড় ভাংগে সাধাণত পড়ে গিয়ে বা এক্সিডেন্ট এর কারণে। কিন্তু কোন কোন সময় কোন আঘাত ছাড়াই হাড়ে একধরনের ভাংগন হয় যা অনেকেই চিন্তাই করে না। মাথায় নেয় না।কিন্ত দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যথায় ভুগতে থাকেন। শারীরিক পরিশ্রম করা দেহের সুস্থ্যতা, রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও বডি ফিটনেস এর জন্য অপরিহার্য।
কিন্তু অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এর ফলে ফ্যাটিগ বা ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে শরীর ।অতিরিক্ত হাটা, খেলাধুলা অথবা অভার ইউজ এর ফলে হাড়ে অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস পড়ে যার ফলে হাড়ে এক ধরনের ক্র্যাক লাইক ফ্র্যাকচার হয় যাকে বলা হয় স্ট্রেস( Stress) ফ্র্যাকচার বা ফ্যাটিগ ( Fatigue) ফ্র্যাকচার। কাদের বেশী হয়?:এথলেটসজিম্নেসিয়ামরানারঅতিরিক্ত যারা হাটেন।কি লক্ষণ?:কোন আঘাত ছাড়াই প্রথম দিকে: হাটা বা ব্যায়ামের পর।পরে :হাটা বা বায়ামের সময়।আরো বেশি হলে ব্যায়াম ছাড়াই সব সময় ব্যথা হয়।চিকিৎসা :-অতিরিক্ত হাটা বা অধিক ব্যায়াম পরিহার করা।-রেস্ট, কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়া বা স্ট্রেস এর মাত্রা কমিয়ে দেওয়া।- হাটা বা ব্যায়ামের সময় কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ ব্যাবহার করা।- একজন অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিয়ে ডায়াগনোসিস কনফার্ম করা। যাতে ইনফেকশন বা অস্টিওমায়লাইটিস, অস্টিও বা ইউইংস সার্কমা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়।