SI জয়েন্ট সিনড্রোম: লক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা
লক্ষণ:
১. পেছনের নীচের অংশে ব্যথা: সাধারণত কোমরের নীচের দিকে এবং নিতম্বের কাছে ব্যথা অনুভূত হয়।
২. পায়ে ব্যথা: অনেক সময় ব্যথা উরু বা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, যা সায়াটিকা মনে হতে পারে।
৩. কঠোরতা: শরীরের নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা বা অস্বস্তি অনুভূত হয়।
৪. নড়াচড়ার সময় ব্যথা বৃদ্ধি: দাঁড়ানো, হাঁটা বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার সময় ব্যথা বাড়ে।
৫. স্পর্শে সংবেদনশীলতা: SI জয়েন্টের এলাকায় চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হয়।
ব্যবস্থাপনা:
১. বিশ্রাম: শারীরিক কার্যকলাপ কমিয়ে পেশি ও জয়েন্টকে আরাম দেওয়া।
২. ঠান্ডা বা গরম সেঁক: ব্যথা কমাতে ঠান্ডা বা গরম প্যাড প্রয়োগ করা।
৩. ওষুধ:
- ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন।
- যদি প্রয়োজন হয়, ডাক্তারের পরামর্শে স্টেরয়েড ইনজেকশন।
৪. ফিজিওথেরাপি: - পেশির শক্তি এবং নমনীয়তা বাড়াতে বিশেষ ব্যায়াম।
- কোর মাংসপেশি শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম।
৫. ম্যানুয়াল থেরাপি: চিরোপ্র্যাকটিক বা অস্টিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাহায্য করতে পারে।
৬. বেল্ট বা ব্রেস: SI জয়েন্টকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৭. জীবনধারার পরিবর্তন: - সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা।
- ভারী ওজন তোলা এড়ানো।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম।
কখন ডাক্তার দেখাবেন:
- যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে।
- পায়ে দুর্বলতা বা অসাড়তা অনুভূত হয়।
- নিয়মিত ব্যবস্থাপনার পরও উন্নতি না হয়।
ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং ব্যায়াম চালিয়ে যান।