বেলস পলসির চিকিৎসায় ব্যথা নিরাময় ও ফিজিওথেরাপি ব্যবস্থাপনা

Spread the love

বেলস পলসি কী?
বেলস পলসি হলো মুখের স্নায়ুর (ফেসিয়াল নার্ভ) সাময়িক দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত, যা মুখের একপাশে পেশিগুলির নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ঘটে এবং দ্রুত সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে ওঠা সম্ভব।


ব্যথা নিরাময়ের জন্য ওষুধ

  1. স্টেরয়েড:

প্রেডনিসোলোনের মতো স্টেরয়েড স্নায়ুর প্রদাহ কমিয়ে দেয়।

এটি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু করলে দ্রুত আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা থাকে।

  1. ব্যথানাশক ওষুধ:

আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামল মুখ ও কানের আশপাশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

  1. ভাইরাসবিরোধী ওষুধ (যদি প্রয়োজন হয়):

অ্যাসাইক্লোভির মতো অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।


ফিজিওথেরাপি ব্যবস্থাপনা

ফিজিওথেরাপি মুখের পেশির কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  1. মুখের ব্যায়াম:

মুখের বিভিন্ন পেশি শক্তিশালী করতে হালকা ব্যায়াম করা হয়।

উদাহরণ: হাসা, চোখ বন্ধ করা, ঠোঁট চেপে ধরা ইত্যাদি।

  1. ম্যাসাজ থেরাপি:

মুখে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে এবং পেশির টান কমাতে ম্যাসাজ করা হয়।

আঙ্গুলের মাধ্যমে মৃদু চাপ প্রয়োগ করে ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

  1. ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন:

স্নায়ু উদ্দীপিত করতে এবং পেশিগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

  1. গরম ও ঠান্ডা থেরাপি:

মুখের পেশি আরাম দিতে গরম পানির প্যাক বা ঠান্ডা প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।


জীবনযাত্রায় পরিবর্তন

চিবানোর সময় ধীরে ধীরে খাওয়া।

চোখ সুরক্ষিত রাখতে আর্টিফিশিয়াল টিয়ার বা চোখ ঢেকে রাখা।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা।

ফলাফল

বেশিরভাগ বেলস পলসির রোগী সঠিক চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি অনুসরণ করলে ৩-৬ মাসের মধ্যে পুরোপুরি সেরে ওঠেন। তবে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

নোট: চিকিৎসার প্রতিটি পদক্ষেপ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনুসরণ করুন।

Leave a comment