বিনা সার্জারি, বিনা মেডিসিনে ঘাড়ের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা অথবা কোমর ব্যথার থেকে মুক্তি

Spread the love

এতদিনের রোগী দেখার অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম একটা বড় সংখ্যক রোগী আছে যাদের – “এক্সরে, এমআরআই ও প্যাথলজি রিপোর্টে যে ব্যথা ধরা পড়ে না”

১। ঘাড়ের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা অথবা কোমর ব্যথার কারন খুঁজে পাওয়া যায় না।
২। ব্যথা এক্সরে এমআরআইতে ধরা পড়ে না।
৩।সব ইনভেস্টিগেশন যেমন আরএ টেস্ট ,সিভিসি টেস্ট ইত্যাদি নরমাল পাওয়া যায়।
৪।ব্যথার ধরন বাতের সমস্যার সিম্পটমের সাথে মিলে না।

অথচ দিনের পর দিন রোগী ব্যথা-ব্যথা বলে চিৎকার করে অপ্রয়োজনীয় ব্যথার ওষুধ খান। অনেক সময় দেখা যায় অনেক ডাক্তার ওই ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বলে মনে করেন।

আসলে এই ধরনের রোগী যে সমস্যায় ভুগে তার নাম “মায়োফেসিয়াল পেইন সিন্ড্রোম”

এখন বলতে পারেন যে ব্যথা এক্সরে এমআরইতে ধরে পারে না তা আমরা চিকিৎসকরা কি করে বুঝি!

আমরা প্রথম রোগীর সমস্যা গুলিকে বিচার করি।যেমন এই ব্যথার রোগীর সমস্যা গুলি নিম্নোক্ত হয়ঃ

১.নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ব্যথাটা দীর্ঘদিন বাস করতে থাকে।
২.সেই স্থানে চাপ দিলে রোগী চিৎকার করে উঠে।
৩.ব্যথার ওপরের মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে থাকে।
৪.কারণ ছাড়াই সে স্থানের মাংসপেশি দুর্বল মনে হয়।
৫. ব্যথার স্থানে চাপ দিলেও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হয়।
৬.ঘাড় নাড়ানো যায় না, শোল্ডার নাড়ালেই ব্যথা হয়, কোমরের অথবা শরীরের নির্দিষ্ট একটি পয়েন্টে বারবার ব্যথা অনুভূত হয়।

মায়োফেসিয়াল সিন্ড্রোম সাসপেক্ট করলে আমরা ফিজিক্যাল এক্সামিনিশন করে নিশ্চিত হই।

সুতরাং এ ধরনের ব্যথায় যততত্র না ঘুরে ফিজিওথেরাপি প্র্যাকটিশনার এর শরণাপন্ন হোন।
কেননা মনে রাখবেন-

“এই ব্যথা ফিজিওথেরাপি ছাড়া ব্যথার ঔষধ কিংবা মাসল রিলাক্সেন্ট দিয়ে সারে না”

সঠিক তথ্যে দূর্ভোগ কমুক এই প্রত্যাশা করি।

Leave a comment