পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা বা হিল স্পার কি ??

Spread the love

পায়ের সমস্যার মধ্যে পায়ের সমস্যার মধ্যে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা গোড়ালিতে ব্যথা খুব কমন একটি অসুখ। সাধারনত সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পায়ে প্রচন্ড ব্যথা হয়। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে পায়ের তলায় স্পার বা কাটার মত হাড় বৃদ্ধি হয় তাকে ডাক্তারি ভাষায় ক্যালকেনিয়াল স্পার বা অষ্টিওফাইটিক স্পার বলা হয়।

♂️ পায়ের গোড়ালি হাড় বৃদ্ধি বা হিল স্পার কি? পায়ের গোড়ালি হাড় বৃদ্ধি হলো পায়ের পাতার গোড়ালি হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, যার ফল স্বরূপ হাটলে, দাড়ালে বা দৌড়ালে ব্যথা হয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কারণ হলো গোড়ালি কে ঘর্ষণ ও চাপ থেকে রক্ষা করে যে পেশি টেন্ডন, অথবা লিগামেন্ট গুলো সেগুলো ক্ষতি বা আঘাত পাওয়ার দরুন ক্যালসিয়াম জমা হয়। এটি মাঝ বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের দেখা যায় তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের গোড়ালি তে ব্যথা আছে তাদের মধ্যে ৫৯% ব্যক্তির পায়ের গোড়ালি তে স্পার দেখা গেছে। ♂️ প্রধান কারণ গুলো কি কি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্লান্টার ফ্যাসাইটিস ই পায়ের গোড়ালি হাড় বৃদ্ধি জন্য দায়ী। যদি কোন কারণে প্লান্টার ফ্যাসেয়া আঘাত পায়, পায়ের পাতা ধকল থেকে রক্ষা করা কানেকটিভ টিস্যু গুলো স্বাভাবিক চেয়ে বেশি সময় নেয় ঠিক হতে, আর ছোট হাড় গজানো শুরু হয়ে যায়।

পায়ের গোড়ালি হাড় বৃদ্ধি অন্যান্য কারণ হলো: 📎 পায়ের পাতা পেশি ও লিগামেন্ট এ অত্যাধিক ধকল। 📎 অতিমাত্রায় প্রসারণ। 📎 দৌড়ে অ্যাথলেটদের শারীরিক সক্রিয়তা। 📎দীর্ঘক্ষণ ধরে দাড়িয়ে থাকা। 📎যে সব ব্যক্তি গোড়ালি চ্যাপটা বা ধনুকাকৃতি। 📎 ভুল মাপের জুতা ব্যবহার করা। 📎 অতিরিক্ত ওজন। 📎 আথ্রাইটিস এবং ডায়বেটিস মতো অসুখ। ♂️ এটি কিভাবে নিনর্য় করবেন? কারণ নিনয় করতে হলে প্রথমে আপনার মেডিকেল ইতিহাস জানতে চাইবেন একজন চিকিৎসক। তারপর এক্সরে অথবা এমআরআই এবং আল্ট্রাসাউন্ড টেষ্ট এর মাধ্যমে জানা যাবে আপনার স্পার হয়েছে কিনা? ♂️ চিকিৎসা? ঔষধ দিয়ে ব্যথা কমানো চেয়ে এর পাশ্ব প্রতিক্রিয়া যা আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পায়ের গোড়ালি ব্যথায় ফিজিওথেরাপি খুব কার্যকরী চিকিৎসা এর ভিতরে রয়েছে শক ওয়েভ থেরাপি চিকিৎসা যা স্বল্প সময়ে দেবে আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা হতে মুক্তি।

http://www drdebashisdey.com

এছাড়াও কিছু নিয়ম মেনে চললে যা আপনার ব্যথা কমে যাবে সেগুলো হলো: 👉 পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। 👉 পায়ের গোড়ালি ব্যথা জায়গা বরফ সেক দেওয়া। 👉 সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করা। 👉 শক্ত জায়গা খালি পায়ে না হাটা। 👉 ওজন কমানো। 👉 হিল কুশন ব্যবহার করা।

Leave a comment