কোমরের ব্যাথা মহিলাদের মেয়েলি কারনেও হয়ে থাকে । আসুন জেনে নেই এরকম একটি রোগ পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ

Spread the love

সমস্ত কোমরের ব্যাথা কিন্তু নার্ভ বা অস্থিজনিত কারনে হয়না । অনেক সময় মহিলাদের মেয়েলি কারনেও হয়ে থাকে । আসুন জেনে নেই এরকম একটি রোগ পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। সাধারনত ১৩-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের হয়ে থাকে ।পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজপেলভিক ইনফ্লামেটোরি ডিজিজ কাকে বলে?

দীর্ঘকালীন সংক্রমণের ফলে মহিলাদের জননাঙ্গে প্রদাহের সৃষ্টিকে পেলভিক ইনফ্লামেটোরি ডিজিজ (পিআইডি) বলে। এই সংক্রমণের ফলে যৌনাঙ্গের বিভিন্ন অংশ, যেমন, নালী, ডিম্বাশয় ও জরায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না হলে এর থেকে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যেমন গর্ভধারণের সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতা।এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি?পেটের নিচের দিকে দীর্ঘক্ষণ ভোঁতা যন্ত্রণা , কোমরে যন্ত্রনা , অস্বাভাবিক সাদাস্রাব, যার রং হতে পারে বিশ্রী বা সবুজ, এছাড়া, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, দুটি মাসিক চক্রের মধ্যে স্পটিং ও যন্ত্রণাদায়ক মাসিক ইত্যাদি উপসর্গও মহিলাদের মধ্যে দেখা যেতে পারে। অপরিচিত উপসর্গগুলির মধ্যে আছে বমিভাব বা বমি, জ্বর , এবং যৌন সম্পর্কের সময় যন্ত্রনা অনুভব। ভারতবর্ষের মহিলাদের মধ্যে পিআইডি বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ।এই রোগের কারন কী????এই রোগের কারন হল নিসেরিয়া গনোরি ও ক্ল্যামাইডিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া ।অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গ, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার ,একের বেশি যৌন সঙ্গী ইত্যাদির কারনে এই রোগ হয়ে থাকে । তুলনামূলক অপরিচিত কারণ হল কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রণালী যেমন, এন্ডোমেট্রিয়াল বায়োপ্সি, জন্মনিরোধক যন্ত্রের প্রবেশ বা গর্ভপাত।চিকিৎসা কী????মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কোর্সের পরামর্শ দেওয়া হয় সাধারণত 14 দিনের জন্য।

কোর্সটি সম্পূর্ণ করা এবং চিকিৎসা চলাকালীন যৌন সম্পর্ক বন্ধ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাথার জন্য পেনকিলার দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের সঙ্গে ফলো-আপ করে নেওয়া উচিত। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরো তদন্তের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে।এই রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় যেটি আপনাকে ব্যাথা কমাতে ও স্বাভাবিক যৌন জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করবে । তাই গাইনিকোলজিস্ট দেখানোর পর ফিজিওথেরাপিস্ট কে দেখানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Leave a comment